দুপুর তিনটা আসলে বৃত্তাকার এক সময়।
আমি ঘুরে এসে দেখি তুমি সানগ্লাস সমেত একটা গাড়িতে উঠে যাচ্ছ
তোমার চিবুকে দুপুর তিনটার রোদ।
দুপুর তিনটা আসলে রহস্যময়; তুমি আমাকে দেখতে চেয়েছিলে একদিন।
তুমি কি আমাকে ঘুঘু পাখির ডাকের চেয়েও নির্জন কোনো জলের অতল ভাবো?
আমি পথে নেমে দেখি, ঠিক তিনটায় অফিস পাড়ায় মেঘ জমে আছে;
শত শত টাইপরাইটারের খট খট শব্দ
অ্যান্টিএয়ারক্রাফট কামানের মতো আটকাতে চাইছে
একের পর এক বিমান হামলা।
দুপুর তিনটা ডাকাতের মতো;
লোডশেডিংয়ের অসহ্য দুপুরে হাত দিয়ে ঘোরাতে চায়
ঝুলে থাকা আত্মহত্যাপ্রবণ কবির শরীর সিলিং ফ্যান থেকে।
দুপুর তিনটা আসলে ফায়ারিং স্কোয়াড
সারিবদ্ধ হয়ে নামা অনেক বৃষ্টির দাগ ঘড়ির ডায়ালে।
দুপুর তিনটা খোঁচা খেয়ে কেটে যাওয়া আঙুল,
সেলাই খুলে যাওয়া স্যান্ডেল,
বিব্রতকর ভঙ্গিতে মেরিলিন মনরো।
দুপুর তিনটা বিপ্লব করার দায়ে
পিটিয়ে মেরে ফেলা তরুণের অনড় দৃষ্টি
দুপুর তিনটা এক ভয়ংকর অ্যাকসিডেন্টের চরিত্র;
কান ফেটে রক্ত,
বায়ুমন্ডলে কিছুক্ষণ ভেসে থাকা সব আঙুলের নখ।
দুপুর তিনটা আসলেই মারাত্নক;
কিছুটা সময় বিষের পাত্রে
অন্ধকার কম পড়ে যাওয়া।
অক্টোবর -২০২১
Leave a comment